প্রথম আলোর বাল্ব কে আবিষ্কার করেন?

ইতিহাস আমাদের জন্য তাদের নাম রেখেছে ভাস্বর আলোর বাল্ব কে আবিস্কার করেন এবং এর আসল মডেলগুলিতে কাজ করেছে। 19 শতকের শেষের দিকে সবচেয়ে দরকারী উদ্ভাবনের সৃষ্টির পথটি আকর্ষণীয় এবং অস্বাভাবিক। আজ, বাড়িতে কৃত্রিম আলো একটি সাধারণ জিনিস। কিন্তু বৈদ্যুতিক বাতি আমাদের পরিচিত হয়ে ওঠার পর বহু বছর কেটে গেছে।

আবিষ্কারের কালানুক্রম

ভাস্বর আলোর বাল্বের ইতিহাস 19 শতকে শুরু হয়। দরকারী আবিষ্কারটি এখনও বিশ্বের কাছে উপস্থাপিত হতে প্রায় 50 বছর দূরে ছিল। যাইহোক, ইংরেজ বিজ্ঞানী হামফ্রে ডেভি তার গবেষণাগারে ইতিমধ্যে বৈদ্যুতিক প্রবাহ দ্বারা পরিবাহীর ভাপ নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছিলেন। তবুও, তিনি একজন ছিলেন না যিনি আলোর বাল্ব আবিষ্কার করেনআলো জন্য উপযুক্ত। দুই দশক ধরে, অনেক নেতৃস্থানীয় ইউরোপীয় এবং আমেরিকান পদার্থবিজ্ঞানী হামফ্রে ডেভির অভিজ্ঞতাকে ধাতু এবং কার্বন পরিবাহী গরম করার মাধ্যমে উন্নত করার চেষ্টা করেছেন।

জার্মান ঘড়ি নির্মাতা হেনরিখ গোয়েবেল প্রথম ছিল যারা ধারণা নিয়ে এসেছেন ব্যারোমিটার তৈরির পদ্ধতি ব্যবহার করে ভাস্বর উপাদান সহ বাতি।আবিষ্কারটি 1854 সালে নিউইয়র্কের একটি প্রদর্শনীতে উপস্থাপিত হয়েছিল। নকশা নিজেই কোলোন বোতল এবং কাচের টিউব তৈরি করা হয়েছিল যার মধ্যে গোয়েবেল তৈরি করতে পারদ ব্যবহার করা হয়েছে শূন্যস্থান. ভিতরে তিনি একটি পোড়া বাঁশের সুতো রেখেছিলেন, যার মধ্যে ফ্লাস্ক ...বাতাসের সাথে... বায়ু 200 ঘন্টা পর্যন্ত জ্বলতে পারে।

থেকে 1872 সেন্ট পিটার্সবার্গে, কাজ বাতি রাশিয়ান বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী A.N. Lodygin এবং V.F. Didrichson. তারা মোটা তামার রডগুলির মধ্যে একটি পাতলা কার্বন রড স্থাপন করেছিল। এ.এন. লোডিগিন এই আবিষ্কারের জন্য লোমোনোসভ পুরস্কার পেয়েছিলেন। 1875 সালে V. F. Didrichson একটি কাঠের জন্য কার্বন স্টিক পরিবর্তন করেন। এক বছর পর নৌ কর্মকর্তা ও মেধাবী ড উদ্ভাবক ন. পি. বুলিগিন তার স্বদেশীদের দ্বারা উদ্ভাবিত নকশাটি উন্নত করেছিলেন। বাহ্যিকভাবে, এটি প্রায় অপরিবর্তিত ছিল, তবে তামার একটি স্তর দিয়ে কার্বন রডগুলিকে আবৃত করে, বর্তমান শক্তি বৃদ্ধি করা হয়েছিল।

অনেকেই বিবেচনা করেন এর উদ্ভাবক হিসাবে প্রথম প্রদীপের, টমাস এডিসন। কিন্তু ডিভাইসটি আমেরিকার হাতে পড়ার আগেই উদ্ভাবকইউরোপের পাঁচটি দেশের বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যেই এর পেটেন্ট পেয়েছিলেন। В কোন বছর এডিসন তার বৈদ্যুতিক আলোর বিকাশ শুরু করেছিলেন, এটি সঠিকভাবে জানা যায়নি।

19 শতকের 70 এর দশকে বাল্ব লোডিগিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। টমাস এডিসন রাশিয়ানদের ডিভাইসে নতুন কিছু আনেননি উদ্ভাবকযাইহোক, তিনি একটি সুপারস্ট্রাকচার ডিজাইন আবিষ্কার করেছিলেন: একটি কার্তুজ এবং স্ক্রু বেস, সুইচ এবং ফিউজ, একটি পাওয়ার মিটার। এডিসনের সাথে শিল্পের কাজ শুরু হয় উদ্ভাবনের ইতিহাস।.

আলোতে শক্তির প্রথম রূপান্তর

এর আবির্ভাব প্রথম ভাস্বর আলোর বাল্বের 18 শতকের সর্বশ্রেষ্ঠ ঘটনা দ্বারা পূর্বে ছিল - বৈদ্যুতিক প্রবাহের আবিষ্কার। তিনিই সর্বপ্রথম বৈদ্যুতিক ঘটনা অনুসন্ধান করেন এবং সেখান থেকে কারেন্ট পাওয়ার সমস্যা মোকাবিলা করেন বিভিন্ন ধাতু এবং রাসায়নিক, ইতালীয় পদার্থবিদ লুইগি গ্যালভানি।

1802 সালে, রাশিয়ান পদার্থবিদ-পরীক্ষক ভি.ভি. পেট্রোভ একটি শক্তিশালী ব্যাটারি ডিজাইন করেছিলেন এবং এর সাহায্যে একটি বৈদ্যুতিক চাপ পান, যা আলো তৈরি করতে পারে। যাইহোক, পেট্রোভের আবিষ্কারের একটি ত্রুটি ছিল যে একটি ইলেক্ট্রোড হিসাবে ব্যবহৃত কাঠকয়লা খুব দ্রুত পুড়ে যায়।

দীর্ঘ সময়ের জন্য জ্বলতে সক্ষম প্রথম আর্ক ল্যাম্পটি 1806 সালে ইংরেজ হামফ্রে ডেভি দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছিল। তিনি বিদ্যুৎ নিয়ে পরীক্ষা করেছিলেন এবং বৈদ্যুতিক আবিষ্কার করেছিলেন। আলোর বাল্ব কাঠকয়লা রড দিয়ে। যাইহোক, এটি এত উজ্জ্বল এবং অস্বাভাবিকভাবে উজ্জ্বল যে এটির জন্য কোন ব্যবহার পাওয়া যায়নি।

ভাস্বর বাতি: প্রোটোটাইপ

ভাস্বর আলোর বাল্ব আবিষ্কার অনেক বিজ্ঞানী দায়ী করা হয়. তাদের মধ্যে কেউ কেউ একই সময়ে কাজ করেছে, তবে বিভিন্ন দেশে। পরবর্তী সময়ে কাজ করা বিজ্ঞানীরা তাদের পূর্বসূরীদের উদ্ভাবনে যথেষ্ট উন্নতি করেছেন। এইভাবে, ভাস্বর আলোর বাল্ব সৃষ্টি - এটি বেশ কয়েকজনের কাজ।

ভাস্বর উপাদানগুলির সাথে ডিজাইনের সরাসরি বিকাশ XIX শতাব্দীর 30 এর দশকে শুরু হয়েছিল। বেলজিয়ামের বিজ্ঞানী জোবার কার্বন কোর দিয়ে বিশ্বের প্রথম নকশা উপস্থাপন করেন। তার কার্বন বাতি এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় নি কারণ এটি 30 মিনিটের বেশি সময় ধরে জ্বলেনি। যাইহোক, এমনকি এই সময়ে অগ্রগতি ছিল.

একই সময়ে, ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী ওয়ারেন দে লা রু একটি সর্পিল আকারে একটি প্ল্যাটিনাম উপাদানের সাথে তার বাতি প্রবর্তন করেন। প্ল্যাটিনাম উজ্জ্বলভাবে আলোকিত, এবং শূন্যস্থান কাচের ভিতরে বাল্ব এটি সমস্ত আবহাওয়ার পরিস্থিতিতে ব্যবহার করার অনুমতি দেয়। ওয়ারেন দে লা রুয়ের উদ্ভাবনটি অন্যান্য ডিজাইনের জন্য একটি প্রোটোটাইপ হয়ে ওঠে, যদিও এটি নিজেই এর উচ্চ ব্যয়ের কারণে আরও উন্নত হয়নি।

আরেক ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী, ফ্রেডেরিক ডি মোলাইন, একটি কয়েলের পরিবর্তে প্ল্যাটিনাম ফিলামেন্ট স্থাপন করে দে লা রুয়ের ব্রেইনচাইল্ডকে কিছুটা পরিবর্তন করেছিলেন। তবে, তারা দ্রুত পুড়ে যায়। একটু পরে, পদার্থবিদ কিং এবং জন স্টার তাদের ইংরেজিতে উন্নতি করেন সহকর্মীরা. ইংরেজ রাজা প্ল্যাটিনাম ফিলামেন্টগুলিকে কার্বন স্টিক দিয়ে প্রতিস্থাপিত করেছিলেন, তাদের জ্বলনের সময় বাড়িয়েছিলেন। এবং আমেরিকান জন স্টার একটি কার্বন বার্নার এবং একটি ভ্যাকুয়াম গোলক সহ একটি নকশা নিয়ে এসেছিলেন।

প্রথম ফলাফল

প্রথম আলোর উৎস হেনরিক হেবেলের ওয়ার্কশপ থেকে এসেছে। হেনরিখ গোবেলের কর্মশালা।. তিনি পেশাদার ছিলেন না উদ্ভাবককিন্তু তিনি আবিষ্কার করেন বিশ্বের প্রথম ভাস্বর বাতি. গোয়েবেল তার ঘড়ির দোকানে লাইট লাগিয়ে একটি স্ট্রলারে লাগিয়েছিলেন, যেখানে তিনি সকল আগতদের আমন্ত্রণ জানান। তবে টাকার অভাবে গোয়েবেল তার উদ্ভাবনের জন্য একটি পেটেন্ট প্রাপ্ত করতে অক্ষম ছিল. শুধুমাত্র তার জীবনের শেষ দিকে জার্মান ঘড়ি নির্মাতা স্বীকৃত ছিল এর উদ্ভাবক ভাস্বর উপাদান সঙ্গে বাতি.

রাশিয়ায়, প্রথম উদ্ভাবক ভাস্বর বাতির উপাদানগুলির মধ্যে ছিল A. N. Lodygin. তার সহকর্মী V. F. Diedrichson এর সাথে তিনি সেন্ট পিটার্সবার্গের বৈদ্যুতিক আলোর সূচনা করেন। প্রথম কয়লা আলো নির্মাণ, রাশিয়ান উদ্ভাবকদের দ্বারা তৈরি, সেন্ট পিটার্সবার্গ অ্যাডমিরালটিতে ইনস্টল করা হয়েছিল। এক বছর পরে, রাজধানীর কয়েকটি দোকানে এবং আলেকজান্ডার ব্রিজে কৃত্রিম আলো দেখা গেছে।

পেটেন্টের জন্য সংগ্রাম

যেহেতু বৈদ্যুতিক আলোর উত্স তৈরির কাজ অনেক দেশে পরিচালিত হয়েছিল, একই রকম আবিষ্কারের জন্য পেটেন্ট একযোগে বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী প্রাপ্ত করেছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, তবে, এই একাধিক আবিষ্কার ভাস্বর বাতির পেটেন্ট পাওয়ার জন্য একটি সংগ্রামের দিকে পরিচালিত করেছিল।

ভাস্বর আলোর বাল্বের জন্য প্রথম পেটেন্ট বাল্ব ...দুইজন শ্রদ্ধেয় ছিলেন... উদ্ভাবক - ইংরেজ জোসেফ সোয়ান এবং আমেরিকান টমাস এডিসন। ইংরেজ একটি কার্বন সঙ্গে একটি বাতি পেটেন্ট ফাইবার, যা ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জে শিল্প উৎপাদনে ব্যবহৃত হতে শুরু করে। টমাস এডিসন আলেকজান্ডার লোডিগিনের ফিলামেন্ট ল্যাম্পের উন্নতিতে কাজ করেছিলেন। তিনি ফিলামেন্ট হিসাবে অনেক ধাতু চেষ্টা করেছিলেন এবং কার্বন ফাইবারে স্থির হয়েছিলেন, বাতি জ্বলার সময়কে 40 ঘন্টায় নিয়ে আসেন।

জোসেফ সোয়ান কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য তার আমেরিকান সহকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন, তাই এডিসন প্রবর্তিত বাতিটিকে পরে এডিসন-সোয়ান বাতি বলা হয়। 600 ঘন্টা পর্যন্ত পোড়া সময় সহ বাঁশের তন্তুগুলি পরে জাপান থেকে আমদানি করা হলে, বিজ্ঞানীরা তাদের আবিষ্কারে এই উপাদানটি ব্যবহার শুরু করার সাথে সাথে আবার আদালতে নিজেকে আবিষ্কার করেন। এডিসন এবং সোয়ান বৈদ্যুতিক উৎপাদনের জন্য একটি যৌথ কোম্পানি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মামলাটি শেষ হয় আলোক বাতিযা দ্রুত বিশ্বনেতা হয়ে ওঠে।

ধাতব ফিলামেন্ট

মোমবাতির পরিবর্তে, ভাস্বর কার্বন ল্যাম্প হাজির। এবং তারপরে নকশাটি ধাতব ফিলামেন্ট দিয়ে সজ্জিত ছিল। 19 শতকের শেষের দিকে, জার্মান পদার্থবিদ ওয়াল্টার নার্নস্ট ফিলামেন্ট উৎপাদনের জন্য একটি বিশেষ সংকর ধাতু তৈরি করেছিলেন। এতে ধাতু অন্তর্ভুক্ত ছিল যেমন:

• yttrium;
• ম্যাগনেসিয়াম;
• থোরিয়াম

একই সময়ে, এ.এন. লডিগিন টংস্টেনের তৈরি একটি দ্রুত-শক্তকারী ফিলামেন্ট আবিষ্কার করেছিলেন। যাইহোক, পরে রাশিয়ান উদ্ভাবক টমাস এডিসন প্রতিষ্ঠিত একটি কোম্পানির কাছে তার আবিষ্কার বিক্রি করেন। টংস্টেন ফিলামেন্ট বৈদ্যুতিক আলোর একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে।

আরও উদ্ভাবন

বিংশ শতাব্দীর আগে বৈদ্যুতিক আলো নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে তেমন আগ্রহ ছিল না। সহস্রাব্দের পালা দিয়ে, যাইহোক, সবকিছু বদলে গেল। বিংশ শতাব্দী বিভিন্ন বৈদ্যুতিক বাতির উদ্ভাবনের তরঙ্গ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছিল। 1901 সালে, একজন আমেরিকান উদ্ভাবক পিটার হিউইট বিশ্বের কাছে পারদ বাতির পরিচয় করিয়ে দেন। এবং 1911 সালে ফরাসি রসায়নবিদ জর্জেস ক্লডি নিয়ন বাতি তৈরি করেছিলেন।

20 শতকের প্রথমার্ধে জেনন, ফ্লুরোসেন্ট এবং সোডিয়াম ল্যাম্পের মতো নকশা দেখা যায়। 1960-এর দশকে, বিশ্ব বড় কক্ষ আলোকিত করতে সক্ষম LED বাতি দেখেছিল। এবং 1983 সালে অর্থনৈতিকভাবে এসেছিল প্রতিপ্রভ আলোশক্তি খরচ কমাতে। যাইহোক, ভবিষ্যত ফ্লুরোসেন্ট ডিজাইনে, যা সম্প্রতি হাজির হয়েছে। তারা কেবল শক্তি সঞ্চয় করতে পারে না তবে তারা পরিষ্কারও করতে পারে বায়ু.